পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কম খরচে কাশ্মীর-লাদাখ-মানালি ভ্রমণ

ছবি
প্যাংগং লেক, লাদাখ  প্রারম্ভিকা- এটা ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের ফসল । বিশ্ববিদ্যালয়ে ওঠার পরে থেকেই এই রুট নিয়ে জানতে পারি এবং ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয় । কিন্তু সময় এবং সাধ্যের সমন্বয় সাধন করা খুবই দুষ্কর হয়ে পড়েছিলো আমার জন্য । আল্লাহর ইচ্ছায় অবশেষে সেই কাঙ্খিত সময়টি মিলেই গেলো । গত ২৮ মে'১৯ ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে সম্পূর্ণ রুট কাভার করে ফের ঢাকায় ফিরি ১৬ জুন'১৯ । মোট ১৯ দিনের এই সফরে আমাদের সর্বমোট খরচ হয়েছে ২০,০০০ বাংলাদেশী মুদ্রারও কিছু কম । আমাদের এক্স্যাক্ট রুট ছিলো - ঢাকা>কলকাতা>দিল্লি>জম্মু>শ্রীনগর>কার্গিল>লেহ>মানালি>দিল্লি>কলকাতা>ঢাকা  গুগল ম্যাপে আমাদের রুট  পুরোটা একটা সাইকেল আর কি । দিল্লি থেকে এক পথে গিয়ে ফের অন্য পথে দিল্লিতেই ফেরা । দিল্লি থেকে ২৭৮ কিলোমিটার দূরবর্তী হরিয়ানা প্রদেশের একটি খুব পরিচিত জায়গা হলো আম্বালা । এই সাইকেলের এতোটুকু ছিলো কমন পয়েন্ট । বাকি পথগুলোর দূরত্ব, পরিচিতি, যাত্রা সহ বিস্তারিত পাবেন আমার লেখার ভেতরে । আমাদের পরিচয়ঃ  এই ট্যুরের সদস্য ছিলাম আমরা...

বিংশ পর্বঃ কলকাতা টু ঢাকা (পরিসমাপ্তি)

ছবি
শিয়ালদহ রেলস্টেশন  শিয়ালদহ স্টেশনঃ (১৫/০৬/১৯) অনেকবারই এখানে এসেছি। এই জায়গার নাম পশ্চিমবঙ্গের কত লেখকের বইতে পড়েছি। এটাকে দেখার পরে প্রথম রিএকশন - আরে এইতো সেই স্টেশন, অনিমেষ যেখানে মাধবীলতাকে ট্রেনে তুলে দিতে আসতো । এরকম কতশত গল্প, উপন্যাস মিশে আছে এই স্টেশনকে ঘিরে । ভালোই লাগে এরকম কোথাও যেতে, দেখতে যেসব জায়গার বর্ণনা খুব শুনেছি বা পড়েছি । অন্যরকম একটা ফিল কাজ করে এরকম ক্ষেত্রে । যাহোক, ফিল আর বাস্তবতা সম্পূর্ণ পৃথক একটি ইস্যু এখানে । এই স্টেশনটি মোটেও কোন রোমান্টিক প্লেস না । বরং অসাবধানে মামু সাজার চান্স আছে যেকোন সময়ে । সেজন্য এই স্টেশনে এলে কখনো চিপায় চাপায় যাওয়া উচিত না । বেশ ইনসিকিউরড একটা স্টেশন মনে হয়েছে আমার কাছে । আমাদের আজকের প্ল্যান মূলত এখানে সারারাত আড্ডা দিয়ে কাটিয়ে পরদিন ভোর চারটার বনগাঁ মেইলে চেপে বনগাঁ চলে যাওয়া।  সম্মানিত পাঠকবৃন্দ ,  আপনাদের মনে হতে পারে আমরা কেনো আজকের রাতে হোটেলে থেকে পরদিন ভোরের ট্রেনে বনগাঁ হয়ে বর্ডারে গেলাম না  ।   আসলে ১৬ তারিখ সন্ধ্যার মধ্যে আমাদের ঢাকায় থাকাটা মূল লক্ষ্য ছিলো  । ...

উনবিংশ পর্বঃ দিল্লির সময়গুলো এবং দিল্লি টু কলকাতা

ছবি
রাষ্ট্রপতি ভবন, দিল্লি মানালি টু দিল্লিঃ (১২/০৬/১৯) বিকাল সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মাঝেই মানালি থেকে দিল্লি অভিমুখে ছেড়ে গেলো আমাদের বাস । শুরু হলো নতুন আরেকটি লং জার্নি । আমরা দুই বন্ধু একদম পেছনের দুই আসনে বসে গেলাম । আমাদের আসনের সামনেই ছিলো বাসের দ্বিতীয় গেইট । মানালি থেকেই আবহাওয়া কিছুটা সহনীয় পর্যায়ের মনে হচ্ছিলো । ভালোই লাগছিলো এজন্য । মানালি থেকে দিল্লির রুট টা হলো - মানালি - কুল্লু - মান্ডি - সুন্দরনগর - বিলাসপুর - রুপনগর - আম্বালা - কুরুক্ষেত্র - পানিপথ - দিল্লি  সাধারণ এই বাসগুলো যাত্রাপথে লোকজন ওঠায়, দাঁড়িয়ে লোক নেয় । লোকাল বলতে যা বোঝায় আর কি । তবে সময় মেইনটেইন করে একদম ভলবোর মতোই । যাত্রী এলে উঠিয়ে নেয়, বাট কারো জন্য অপেক্ষা করে না । দুই বন্ধু বাসে উঠে মাত্র কেনা খাবারগুলো খেলাম । যাত্রাবিরতিতে কিছু খাওয়া-দাওয়া করলাম । গল্পে গল্পে এগোতে লাগলাম । একটু পরে গরম লাগা শুরু হলো । ধীরে ধীরে এই গরম টাই প্রকট হচ্ছিলো । বাস কোথাও একটু দাঁড়ালেই ঘেমে যেতাম গরমে । তখন চোখ বন্ধ করলেই চোখে বারালাচালা পাসের চিত্র ভেসে উঠতো । আহারে ! এই গরমের চেয়ে সেই ঠাণ্ডাই ভ...