১০৫০ টাকায় ঢাকা থেকে চারদিনের রাজশাহী+নওগাঁ সফর

সোমপুর বিহার 


প্রারম্ভিকাঃ 

ছুটি আছে, কাজ নেই...  হলে বসে বসে আর ভালো লাগছিলো না । ঘুরতে যে যাবো, কিভাবে যাবো ? কাছে নাই টাকা । শুরুতেই একটা চ্যালেঞ্জের সম্মুখে পড়ে গেলাম । চ্যালেঞ্জটা এক্সেপ্ট করলাম । খুব সামান্য কয়টা টাকা নিয়েই ২৬ সেপ্টেম্বর'১৮, বুধবার সকাল দশটার দিকে একাই হল থেকে বেড়িয়ে পড়লাম একপ্রকার হুট করেই । উদ্দেশ্য রাজশাহীগামী একমাত্র লোকাল ট্রেন রাজশাহী এক্সপ্রেস ।

টিকিট সংগ্রহঃ 

যখন কমলাপুর গিয়ে পৌঁছলাম তখন ঘড়িতে ১১.১০ বাজে । লোকাল ট্রেনের টিকিট বিক্রিই শুরু হয় বেলা ১১ টা থেকে । লোকাল ট্রেনের টিকিট কাটা থেকে শুরু করে গন্তব্যে পৌঁছানো অবধি এমেচারদের জন্য রয়েছে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা অর্জনের সুযোগ । কমলাপুর গিয়ে শুরুতেই ১৩০ টাকায় রাজশাহীগামী "রাজশাহী এক্সপ্রেস" এর একটি টিকিট সংগ্রহ করলাম । এই ট্রেনটির শেষ গন্তব্য হলো চাঁপাইনবাবগঞ্জ । ট্রেনটির কমলাপুর থেকে ছেড়ে যাবার লিখিত সময় হলো দুপুর ১২.২০ । কিন্তু ছেড়ে যায় একটারও পরে এবং কাউন্টার থেকে ওরা আগেই সেটা আমাকে জানিয়ে দিয়েছিলো ।
ট্রেনের টিকিট 
এর আগে লোকাল ট্রেনে চিটাগাং গিয়েছিলাম । সেই ট্রেনের আসন ফিক্সড থাকেনা, টিকিট কেটে আগে গিয়ে ট্রেনের আসন দখল করতে হয় । কিন্তু রাজশাহী এক্সপ্রেসের আসন আন্তঃনগরের মতোই ফিক্সড করা । যাহোক, টিকিট কেটে কিছু খাবার-দাবার কিনে প্ল্যাটফর্মে ঢুকে গেলাম । হাতে তখনো প্রায় দুই ঘণ্টা সময় ।

ইচ্ছে ছিলো লোকাল ট্রেনে যাবো একেবারে লোকাল সেজেই । প্ল্যাটফর্মে গিয়ে প্যান্ট বদলে লুঙ্গি পড়ে নিলাম । সেই লুঙ্গি পড়া পিক ফেসবুকে দিয়ে বেশ ভালোই আলোচিত, সমালোচিত হলাম । যাহোক,  প্ল্যাটফর্মে গিয়ে একটা ফ্যানের নীচে বসলাম । লোকাল ট্রেনে সময় কাটানোর প্রস্তুতি হিসেবে হল থেকেই ব্যাগে করে দুইটা উপন্যাসের বই নিয়ে গিয়েছিলাম । প্ল্যাটফর্মে বসে বসে বই পড়া শুরু করলাম ।


ট্রাভেলিং টু রাজশাহী ফ্রম ঢাকাঃ (২৬/০৯/১৮)  

প্রায় একটার দিকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে দাঁড়ালো "রাজশাহী এক্সপ্রেস" । ট্রেনে গিয়ে নিজ আসন দখল করলাম । আসন টা জানালার পাশে এবং ট্রেনের গতিপথের সাথে ফরোয়ার্ড ডিরেকশনে পড়ায় শুরুতেই মনটা ভালো হয়ে গেলো । ততক্ষণে আশেপাশে সবার সাথে বেশ গল্প শুরু করে দিয়েছি ।
লুঙ্গি পড়ে রাজশাহী এক্সপ্রেসে 
ঘড়িতে ০১.২০ বাজলে ট্রেন মুভ করা শুরু করলো । শুরু হলো সুদীর্ঘ সময়ের একটা মিশন । মাঝেমাঝে সবার সাথে গল্প করি, জানালা দিয়ে বাইরের প্রকৃতি দেখি, সবার এক্টিভিটি দেখি ... ভালোই লাগছিলো । আরো ভালো লাগছিলো শিকল ভাঙ্গার আনন্দে । কত লোক সেই ট্রেনে উঠলো, নামলো... আমি ঠায় বসেই রইলাম । কারণ আমাকে যেতে হবে সেই ৩৪৩ কিলোমিটার দূরের সুদূর রাজশাহীতে । ট্রেন বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত বেশ ভালো ভাবেই গেলো । এরপরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থেকে শুরু হলো তার লোকাল আচরণ । সেই যে একবার দাঁড়ায়, আর নড়াচড়া থাকে না সুদীর্ঘ সময় । দুনিয়ার সকল ট্রেনের ক্রসিং শেষ হলে তবে ছেড়ে যায় এটা । আমার বিরক্তি বা খারাপ লাগার কোন ফিল নাই । সবাই ট্রেন থেকে নেমে ঘোরাফেরা করে আসে মাঝে মাঝে, ট্রেনের দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে একেকজন একেক কমেন্ট করে । আমি শুনি, দেখি আর বই পড়ি । মোটামুটি এভাবেই এই জার্নি কমপ্লিট করি । ভালোই লাগছিলো । এই রুটে এর আগে অসংখ্যবার চলাফেরা করেছি, কিন্তু এতো এতো নাম না জানা স্টেশন যে এই রুটে আছে তা লোকালে চেপে না বসলে বুঝতামই না । ট্রেন কোন স্টেশনকেই হতাশ করেনা । মাঝে মাঝে এমন হয় যে ট্রেন দাঁড়ানো মাত্রই স্টেশন খুঁজি । অনেক খোঁজাখুঁজি করে হয়তো অবশেষে দেখবো ওই দূরে ছোট্ট একটি টিনের শেড দিয়ে, পাশে ছোট্ট করে স্টেশনের নাম লেখা একটি সাইনবোর্ড । মজা পেলাম ব্যাপার টা দেখে ।
চাঁদনী রাতে ট্রেন ভ্রমণ 

আকাশে ছিলো পূর্ণবৃত্তের ন্যায় একটি চন্দ্র । ঠিক এভাবেই এই চাঁদ দেখতে দেখতে পাড়ি দিয়েছি ঘণ্টার পর ঘণ্টা । কি অপার্থিব লাগছিলো চারিপাশের দৃশ্যগুলো । এভাবেই প্রায় ১২ ঘণ্টার একটি সফর শেষ করে রাত একটার সময় গিয়ে পৌঁছলাম রাজশাহী স্টেশনে ।

সেখান থেকে চলে গেলাম শুভ ভাই (সিভিল, রুয়েট'১১) এর বাসায় । আগেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুই বন্ধু মাসুদ এবং ওয়াদুদ কে ফোন দিয়ে আসতে বলেছিলাম সেই বাসায় । তারা এসে গেছে অনেক আগেই । ভাই-ব্রাদারদের দেখেই মনটা ভালো হয়ে গেলো, ক্লান্তিগুলো কই গেলো আল্লাহ মালুম । বাসায় গিয়ে গোসল সেরে সবাই মিলে খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম । এরপর সেই যে আড্ডা শুরু হলো ... ঘুমাতে ঘুমাতে ভোর ৫ টা বেজে গেলো ।

গন্তব্যহীন সারাদিনঃ (২৭/০৯/১৮) 

বলে রাখা ভালো আমি রাজশাহীতে যতটা না বেড়াতে গিয়েছি, তারচেয়েও বেশি গিয়েছি স্মৃতি রোমন্থন করতে । উচ্চ মাধ্যমিকে রাজশাহী নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজে পড়াশোনা করতাম । সেই সূত্রেই রাজশাহীর সাথে একটা বিশেষ আত্মিক যোগাযোগ আমার ।

যাহোক, ঘুম থেকে উঠলাম প্রায় ১১ টার দিকে । ঘুম থেকে উঠে দুপুরে খেয়ে দেয়ে দুইটার দিকে একাই বের হয়ে গেলাম । র‍্যানডমলি শহরে ঘুরে বেড়ালাম, অনেকের সাথে অনেকদিন পরে দেখা সাক্ষাৎ আড্ডা হলো । পদ্মার পাড়ে বিকেলে বন্ধুদের সাথে বেশ আড্ডা দিলাম । পদ্মার পাড়ে কাশফুলের মহাসমুদ্র বসে গেছে । দেখে খুবই ভালো লেগেছিলো । পিক দেখে এর সৌন্দর্য/ব্যাপকতা কিছুই বোঝা যাবে না ।

পদ্মার পাড়ে 
এখানে আড্ডা শেষে সোজা চলে গেলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে । কলেজের বন্ধুদের ম্যাক্সিমামই এখানে পড়াশোনা করে । যতজনের সাথে সম্ভব বসে বসে আড্ডা দিলাম । গত ২৯ সেপ্টেম্বর'১৮ তে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলো দশম সমাবর্তন । বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জনাব আব্দুল হামিদের আগমন উপলক্ষ্যে ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে ।
আলপনায় সাজানো রাবির পথ 

ক্যাম্পাসের সাজগোজ

বন্ধুদের সাথে ঘুরে ঘুরে অনেক রাত অবধি সেই সব দেখলাম, সবার প্রাণচাঞ্চল্যতা দেখে বেশ ভালো লাগছিলো । এরপরে চলে গেলাম ওয়াদুদের হলে । রাবির আরো দুই বন্ধু এলো । তাদের সাথে প্ল্যান করলাম নেক্সট দিন নওগাঁ বেড়াতে যাবার ।


নওগাঁঃ (২৮/০৯/১৮) 

চারবন্ধু মিলে ভোর সাতটার আগেভাগেই গিয়ে পৌঁছলাম রাজশাহী রেলগেটে । উদ্দেশ্য পসিবলি সবচেয়ে কম খরচে পাহাড়পুর ঘুরে আসা । দামাদামি করে চারজনে ৩০০ টাকায় উঠে পড়লাম একটি লোকাল বাসে । উদ্দেশ্য রাজশাহী থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরের একটি শহর নওগাঁ। তিনঘণ্টা ভ্রমণ করে পৌঁছলাম নওগাঁ সদরে । এরপরে সেখানে নেমে খাওয়া-দাওয়া সেরে চারজনে মোট ১২০ টাকায় উঠে পড়লাম জয়পুরহাটগামী একটি বাসে ।  উদ্দেশ্য ৩২ কিলোমিটার দূরের পাহাড়পুর । সোয়া এক ঘণ্টা ভ্রমণ শেষে চলে গেলাম পাহাড়পুর । সেখানে থেকে জনপ্রতি ৫ টাকা হারে একটি অটোভ্যান নিয়ে চলে গেলাম সোমপুর বিহার । সোমপুর বিহারে গিয়ে দেখি ঘড়িতে প্রায় দেড়টা বাজে । রাস্তাগুলো এতো ভাঙ্গাচোরা যে আসতে আসতেই অনেক সময় লেগে যায় । যাহোক,  এখানে ২০ টাকা টিকিট কেটে ঢোকা লাগে । আমাদের টিকিট সিস্টেম করে ম্যানেজ করেছিলাম।

পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার বা সোমপুর বিহার বা সোমপুর মহাবিহার বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত একটি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার। ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো এটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের স্বীকৃতি প্রদান করে।
পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহার

বৌদ্ধবিহার 

বৌদ্ধবিহারের পাশের পার্ক

সোমপুর বিহার সংশ্লিষ্ট একটি ছোট্ট পার্কও ছিলো সেখানে। প্রায় বারোশত বছর আগের পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব কর্তৃক নির্মিত বিহারটি দেড় ঘণ্টা ঘুরে দেখলাম । এরপরে বের হয়ে সেইম ডিরেকশনে ব্যাক করলাম । 

প্রসঙ্গত, নওগাঁতে দেখার মতো বেশ কিছু স্থান আছে । কুসুম্বা মসজিদটি মূল রাস্তা থেকে খুব একটা দূরে না । একটু সকাল সকাল বের হলে এটা দেখতে পারতাম । এছাড়া আছে আলতাদিঘী, পাতিসর কাছারিবাড়ি, বলিহার রাজবাড়ি, ভীমের পল্টি ইত্যাদি । এসব নওগাঁর বিভিন্ন উপজেলাতে অবস্থিত । সময় নিয়ে যেতে হবে সবগুলো দেখতে চাইলে । খরচ খুব একটা বেশি না । 

যাহোক, বিকাল ছয়টার পরে নওগাঁ থেকে রাজশাহীর কোন বাস ছাড়ে না । তাই সময় মেনে চলতে হচ্ছিলো আমাদের পাঁচটার সময় নওগাঁ শহর থেকে রাজশাহীর গাড়িতে উঠলাম । আটটায় রাজশাহী চলে এলাম । আসলে এতো সময় লাগে না যাতায়াতে । প্রায় সম্পূর্ণ রাস্তায় কন্সট্রাকশনের কাজ চলছে তো তাই দেরি হয়েছে । রাজশাহী ফিরে সেই আবার শহরে ঘুরে বেড়ানো, রাবির ক্যাম্পাসে আড্ডা দেয়া । এরপরে হলে ফিরে ঘুম । 

রাজশাহী - নওগাঁ সফরে জনপ্রতি খরচঃ 

রাজশাহী - নওগাঁ (বাস) - (৩০০/৪) = ৭৫/-
নওগাঁ - পাহাড়পুর (বাসে) - (১২০/৪) = ৩০/-
পাহাড়পুর - সোমপুর বিহার (অটোভ্যান) = ৫/-
সোমপুর বিহার - পাহাড়পুর = ৫/-
পাহাড়পুর - নওগাঁ = ৩০/-
নওগাঁ - রাজশাহী = ৭৫/-
জনপ্রতি খাবার খরচ = ৬০/-
মোটঃ ২৮০/- 

রাজধানীতে ফেরাঃ (২৯/০৯/১৮) 

পরদিন সকালে ঘুম থেকে বন্ধুর হল থেকে বিদায় নিয়ে চলে গেলাম জিয়া পার্কে । আরো কয়েকজনের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হলো, ফের পদ্মার পাড়ে গেলাম । আড্ডা দিয়ে চলে এলাম রেলস্টেশনে । ঢাকাগামী লোকাল বাসগুলোর খবর নিলাম । রাবির আরেক বন্ধু এলো । ২০০ টাকায় ঢাকার বাসের টিকিট কেটে তার সাথে বসে অনেক্ষণ আড্ডা দিলাম । তাকে বিদায় জানিয়ে বাসে উঠলাম । এরপরে দুইটার দিকে বাস ছেড়ে গেলো । সেই যে বাস চলা শুরু করলো, সেটাও একটা নাটক । লোকাল হিসেবে আমার যদিও খারাপ লাগছিলো না তেমন । লোকাল ট্রেনের মতো সব যাত্রীই তোলে, মাঝে মাঝে দাঁড়ালে আর নড়তে চায় না । অনেকেই দেখি গাড়ির স্টাফদের গালিগালাজ করছে মাঝেমাঝে । আমার কোন ভাবান্তর নেই তাতে । কারণ আমি প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছি আগে থেকে যে লোকালে গেলে এমনই হবে । তাই আর কিছু মনে হচ্ছিলো না । যাহোক, এভাবে ধাক্কাতে ধাক্কাতে ৯ ঘন্টা পরে এগারোটায় বাস এসে থামলো গাবতলীতে । শেষ হলো আমার কম খরচের রাজশাহী+নওগাঁ ভ্রমণ । 

প্রসঙ্গত, রাজশাহী শহরে উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থান বলতে চিড়িয়াখানা, রাবি, বরেন্দ্র জাদুঘর, পদ্মার তীর, জিয়া পার্ক, ভদ্রা পার্ক ইত্যাদি রয়েছে । রাজশাহীতে পর্যাপ্ত অটোরিক্সা আছে । শহরে থেকে এসব জায়গায় যেতে মিনিমাম ৫ থেকে ম্যাক্সিমাম ১৫ টাকা অটোভাড়া লাগে । আর বিভিন্ন জায়গায় প্রবেশ ফিও ২০-৩০ টাকার বেশি না । এখানে ঘোরাফেরা খুবই ইজি । পেইন নাই । 

খরচপাতির হিসাবঃ 
ঢাকা - রাজশাহী (ট্রেন) = ১৩০/-
নওগাঁ সফর = ২৮০/-
রাজশাহী - ঢাকা = ২০০/-
রাজশাহীতে অবস্থানকালীন মোট খাবার খরচ = ৩০০/-
রাজশাহীতে যত্রতত্র মুভমেন্ট = ১৪০/-

মোটঃ ১০৫০/- 



বি,দ্রঃ আমি হলে ছিলাম তাই কোন আবাসন খরচ ছিলো না । আর তিন বেলা হলে খেয়েছি বন্ধুদের খরচে । বাকি সব খরচ নিজের ।





মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কম খরচে কাশ্মীর-লাদাখ-মানালি ভ্রমণ

একাদশ পর্বঃ ১২,৮২৭ টাকায় ১২ দিনে ঢাকা থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ (বিশেষ পর্ব)