একাদশ পর্বঃ ১২,৮২৭ টাকায় ১২ দিনে ঢাকা থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ (বিশেষ পর্ব)

গুলমার্গ

গরীবের ভূস্বর্গ-কাশ্মীর ভ্রমণ সমাচারঃ

যাওয়া + ভ্রমণ + আসাঃ ৩+৬+৩ =১২দিন
খরচঃ ১৩,০১৪ টাকা

গত ২৮ মে রাতে আমরা দুই বন্ধু ঢাকা ত্যাগ করে ৬ দিন কাশ্মীর ঘুরে লাদাখ-মানালি-দিল্লি হয়ে ঢাকা ব্যাক করি। এক্ষেত্রে আমাদের  জনপ্রতি মোট খরচ হয়েছে ১৯ দিনে ১৯,৭৮৫ টাকা । আমি যেহেতু কাশ্মীর থেকে ঢাকা আসিনি তাই ঢাকা থেকে কাশ্মীর যেতে যে খরচ টা হয়েছে হুবহু সেইম খরচ টা ফিরতি পথে এড করে সার্কিট টা কমপ্লিট করবো। হিসেব টা আমি বেনাপোল থেকেই শুরু করছি এবং দুই বন্ধুর হিসেব একসাথে দিচ্ছি



গন্তব্য কলকাতা(২৯/০৫/১৯)

কালকা মেইল 

বর্ডার ক্রস করেই দুই বন্ধুর পাসপোর্ট ভিসা ফটোকপি করলাম কয়েক কপি। এরপরে সরাসরি কলকাতায় ফেয়ারলি প্লেসে গেলাম। ফরেইন কোটায় দিল্লির টিকিট নিলাম। এরপরে সাড়ে সাতটার কালকা মেইলে চেপে বসলাম।

আজকের খরচঃ

১। পাসপোর্ট-ভিসা ফটোকপি= ৩০ রুপী 
২। বর্ডার-বনগাঁ = ৬০ রুপী 
৩। বনগাঁ-শেয়ালদা = ৪০ রুপী 
৪। শেয়ালদা-ফেয়ারলি প্লেস= ১৮রুপী 
৫। হাওড়া-দিল্লি(ট্রেন) = ১৭৭০রুপী 
৬। নেহেরু স্ট্রীট - হাওড়া = ১৮রুপী 
৭। ডিনার+পার্সেল = ২০০রুপী 
৮। সিম রিচার্জ= ১০০রুপী 
৯। এক্সেসরিজ + খাওয়াদাওয়া= ১৮৫রুপী 

মোট= ২৪২১ রুপী





কলকাতা থেকে দিল্লিঃ(৩০/০৫/১৯)

জম্মু-তাওয়াই

সারাদিন ট্রেনেই গেলো। এক ঘণ্টা লেটে রাত প্রায় ৯.৪৫ এ নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে পৌঁছাই। সেখানে থেকে বাস ধরার জন্য যাই কাশ্মীর গেটে। বাস মিললো না। চলে গেলাম ওল্ড দিল্লি স্টেশনে, উদ্দেশ্য আজমীর থেকে ছেড়ে আসা সাড়ে দশটার জম্মুগামী জম্মু তাওয়াই ধরা। সেখানে গিয়ে জেনারেলে টিকিট কেটে ট্রেনে উঠলাম।

আজকের খরচঃ

১। খাওয়া = ১০৫ রুপী
২। নিউ দিল্লি-কাশ্মীর গেট-ওল্ড দিল্লি রেলস্টেশন (অটো) = ৬০/-
৩। দিল্লি-জম্মু(ট্রেন) = ৩৭০/-


মোটঃ ৫৩৫ রুপী



জম্মু থেকে বানিহাল হয়ে শ্রীনগরঃ(৩১/০৫/১৯)

Pir Panjal railway tunel

সকাল সাড়ে আট টায় জম্মু পৌঁছাই। সেখানে থেকে শ্রীনগর যাবার বাস স্ট্যাণ্ড যাই। উল্লেখ্য আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো বানিহাল-শ্রীনগর ট্রেন জার্নি টা উপভোগ করা। তাই সেভাবেই প্ল্যান সেট করেছি। দারুণ ট্রেন জার্নি ছিলো। এই রুটেই রয়েছে ভারতের সবচেয়ে লম্বা রেলওয়ে টানেল । এভাবে সারাদিন বিভিন্ন গাড়িতে করে রাতে শ্রীনগর পৌঁছাই ৷ 

আজকের খরচঃ

১। জম্মু রেলস্টেশন - শ্রীনগর/রামবান/বানিহাল বাসস্ট্যাণ্ড = ২০/-
২। ব্রেকফাস্ট = ৮০/-
৩। জম্মু-রামবান(বাস) = ৩৮০/-
৪। খাওয়া = ১২০/-
৫। রামবান-বানিহাল(সুমো) = ৩০০/-
৬। বানিহাল-শ্রীনগর রেলস্টেশন(ট্রেন) = ৪০/-
৭। শ্রীনগর রেলস্টেশন-বাটামাল(বাস) = ৩০/-
৮। বাটামাল - হাউজবোট(অটো) = ৫০/-
৯। ডিনার = ১৬০/-
১০। হাউজবোট ভাড়া = চেক নেক্সট ডে 

মোটঃ ১১৮০ টাকা

তাহলে আমাদের বেনাপোল থেকে শ্রীনগর অবধি যেতে মোট খরচ হলো ৪,১৩৬ রুপী । এই খরচে যখন বেনাপোল থেকে কাশ্মীর যেতে পেরেছি, সুতরাং ফিরতেও পারতাম এই খরচেই। অর্থাৎ আমি ধরে নিচ্ছি কাশ্মীর থেকে বেনাপোল ব্যাক করতেও ৪,১৩৬ রুপী লাগতো।

 বেনাপোল থেকে শ্রীনগর যাওয়া = ৪,১৩৬ রুপী 
শ্রীনগর থেকে বেনাপোল আসা = ৪,১৩৬ রুপী 
মোট আপডাউন খরচ = ৮,২৭২রুপী 




Trip to Kashmir:

শ্রীনগর থেকে বিভিন্ন স্থানের অবস্থান

এখন আসি আমাদের পরবর্তী ৬ দিনের কাশ্মীর ভ্রমণ সম্পর্কে। আগেই বলে রাখি আমাদের এই ৬ দিনের মধ্যে ১ দিন বেহুদা নষ্ট হয়েছে। আর আমার কাছে কাশ্মীর ভ্রমণের জন্য ৪ দিনই ইনাপ মনে হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার খরচ আরো কমে হয়ে যাবে।

আর বলে রাখি, গুলমার্গ-সোনমার্গ-পেহেলগাম-দুধপাত্রী গিয়েছি আমরা। প্রতিটি জায়গাতেই কার ড্রপিং পয়েন্ট থেকে ঘোড়ায় চড়ে গন্তব্যে যাবার ব্যবস্থা আছে। সেক্ষেত্রে ৫০০-১০০০ টাকা লাগে জনপ্রতি। আর গুলমার্গে আছে কেবল কারের ব্যবস্থা। ক্যাবল কারে প্রথম ফেজের জন্য লাগে ৭৪০রুপী, আর দ্বিতীয় ফেজে একদম বরফের চূড়ায় ওঠার জন্য লাগে ৯৫০ রুপী। রাউণ্ড ট্রিপ আর কি। অথবা ঘোড়ায় চেপে স্রেফ ফার্স্ট ফেজ অবধি যাওয়া যায়।  কিন্তু আমরা কোনটাতেই চড়িনি। কারণ বাজেট নাই। আমাকে সেই হিসেবেই ট্যুর দিতে হবে। যার পকেট শক্ত, তার পা দূর্বল। যার পকেট দূর্বল তার পা অটো শক্ত হয়ে যায়।

যাহোক, কাশ্মীর অনেক সুন্দর একটি জায়গা, কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সমস্যা হলো প্রতিটি স্পটের মধ্যে সৌন্দর্যের একটা ভালো রকম মিল আছে। সিম্পলি ব্যাপার টা এমন যে প্রতিটি জায়গাতেই আপনি পাবেন দৃষ্টিনন্দন পাইন গাছের বন, অসম্ভব সুন্দর সবুজ মাঠ, মন মাতানো স্রোতস্বিনী নদী আর শুভ্র বরফের পাহাড়। যারা কাশ্মীর ঘুরেছে অলরেডি, তারা পর্যন্ত পিক দেখে গুলমার্গ বা সোনমার্গ বা পেহেলগামের কিছু পয়েন্ট আলাদা করতে পারবে না। বিশ্বাস না হলে আপনি নিজেই নেট ঘেঁটে দেখুন, দেখবেন সব একই মনে হয়। এসব এজন্যই বলছি যে শুধু শুধু এই ট্রিপ টা দীর্ঘায়িত করার দরকার নেই। অল্প দিন থাকলে একটা আলাদা ভালোলাগা নিয়ে ফিরতে পারবেন। বেশিদিন থাকলে একটা বোরিংনেস আসতে পারে। আর শ্রীনগর সাইট সিয়িং এর জন্য পুরো দিন দেয়া অপ্রয়োজনীয়। বিলিভ মি, এইযে আপনার শালিমার, নিশাত, চাশমেশাহী, পারিমহল নামে সব মোঘল গার্ডেন রয়েছে... প্রতিটি গার্ডেনই সেইম। কোন একদিন ট্রিপ শেষে দ্রুত শ্রীনগর ফিরে এসে শালিমার টা দেখে নেবেন শুধু, তাতেই সব গার্ডেন দেখা হয়ে যাবে। এই প্রসঙ্গে কোন অফেন্স হবে না। এটা আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত মতামত। আমি আমার খরচের হিসেবে চলে যাচ্ছি।


সোনমার্গঃ(০১/০৬/১৯)

সোনমার্গ

আগের দিন দুইজন পার্টনার খুঁজে বের করেছিলাম। চারজন একসাথে তিনদিন ঘুরেছি । হোটেল থেকে চেক আউট করে তাদের নিয়েই সকাল বেলা গাড়ি খুঁজতে বের হলাম। শ্রীনগর - সোনমার্গ আপডাউন ২০০০ রুপীতে একটা ১০ সিটের গাড়ি ভাড়া করলাম। প্রসঙ্গত বলে রাখি, আমরা প্রতিটি ট্রিপ শ্রীনগর থেকেই শুরু করেছি এবং শ্রীনগরেই রাত্রি যাপন করেছি। অন্য কোথাও রাতে থাকিনি।


আজকের খরচঃ

১। ব্রেকফাস্ট = ১০০ রুপী
২। শ্রীনগর-সোনমার্গ(২জনের ভাড়া) = ১০০০/-
৩। চেরি ফল = ১০০/-
৪। দুপুরের খাওয়া = ১০০/-
৫। রাতের খাওয়া = ২১০/-
৬। হোটেল = ৪০০/-
৭। আগের রাতের হাউজবোট= ৫০০/- 

মোটঃ ২৪১০ রুপী 




গুলমার্গঃ(০২/০৬/০৯) 

ফার্স্ট ফেজ, গুলমার্গ

গাড়ি ভাড়া করলাম ১৮০০ রুপী তে। ঘুরে ফিরে একই হোটেলে ফিরে এলাম।

আজকের খরচঃ

১। ব্রেকফাস্ট = ১১৫ রুপী
২। গুলমার্গে দুপুরের খাবার = ১৩০/-
৩। গাড়ি ভাড়া (২জন) = ৯০০/-
৪। ডিনার = ১৬০/-
৫। হোটেল ভাড়া = ৪০০/-


মোটঃ ১৭০৫ রুপী 




০৩/০৬/১৯ঃ (Spoiled)

শালিমার বাগ

আজকের দিনটা হুদাই নষ্ট করেছি। হুদাই বলতে পুরোটা হুদাইও না। লাদাখের চিন্তায়। অনুমতি নেই, লেহ - মানালি রোড ওপেন হয়নি... এসবের শোকে সেদিন শুধুমাত্র শালিমার টা ঘুরেছি। রাতে এসে অসাধারণ একটা হাউজবোটে ছিলাম মাত্র ৭০০ রুপীতে। মালিকের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম এর আগে নাকি ওই বোটের ১৩০০ টাকার নিচে কোনদিন ভাড়া দেন নি।

আজকের খরচঃ

১। লালচক - শালিমার (২জন) = ৬০/-
২। শালিমার এন্ট্রি ফি(২ জন) = ৫০/-
৩। শালিমার - লালচক = ৬০/-
৪। হাউজবোট = ৭৩০/-
৫। হাউজবোট - খায়েমচক = ৩০/-
৬। খাওয়া = ৩৫০/- 

মোট = ১২৮০ রুপী 



দুধপত্রীঃ (০৪/০৬/১৯)

দুধপত্রীর পথে

আজকে আমরাই দুই বন্ধু ছিলাম। আজ থেকে আগামী তিন রাতে আমরা ডাললেকের পাশে ডাঙায় একটা হোটেলে ছিলাম। যাহোক, দুইজনে আজকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে লোকাল ভাবেই গিয়েছি। তবে ভালোই প্যারা গেছে। লালচক থেকে নমস্ব নামে একটা জায়গায় গিয়েছি। সেখানে গিয়ে আর যথাযথ গাড়ি খুঁজেই পাচ্ছিলাম না। যাকেই জিজ্ঞেস করি, বলে ভাই ৫ মিনিট সামনে যান। এই ৫ মিনিট আর ফুরোয় না। ট্রিপ শেষে দুই বন্ধু এই কাশ্মীরিদের ৫ মিনিট তত্ত্ব নিয়ে বেশ হাসাহাসি করেছিলাম। ওরা যদি কখনো বলে আর মাত্র ৫ মিনিট, তাহলেই ধরে নেবেন আধা ঘণ্টার পায়ে হাঁটার রাস্তা রয়েছে আরো সামনে। 

আজকের খরচঃ

১। ব্রেকফাস্ট = ২২০ রুপী
২। লালচক - নমস্ব = ১০/-
৩। নমস্বতে বাডগাম ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ড খোঁজা = ৫০/-
৪। নমস্ব-বাডগাম = ৪০/-
৫। বাডগাম-রাইদা = ৮০/-
৬। রাইদা - মুশপত্রী = ৪০/-
৭। মুশপত্রী-দুধপত্রী-রাইয়ার = ২৬০/-
৮। কলা = ২০/-
৯। রাইয়ার - খানসাহিব = ৩০/-
১০। খানসাহিব - লালচক = ১৪০/-
১১। লালচক - ডালগেট = ১০/-
১২। কাশ্মীরি ওয়াজওয়ান = ৭০/-
১৩। চানাচুর = ৩০/-
১৪। ডিনার = ৩০০/-
১৫। হোটেল ভাড়া = ৪২৫/-

মোটঃ ১৭২৫ রুপী 



ডে ট্রিপঃ (০৫/০৬/১৯)

গুগল ম্যাপে শ্রীনগরের সবগুলো দর্শনীয় স্থান একসাথে

ইউনিভার্সিটি অব কাশ্মীর

আজকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। আজকের দিনে কাশ্মীরে সকল যান চলাচল বন্ধ। শুধু শ্রীনগর সিটিতে চলবে। তাই আগে থেকেই প্ল্যান ছিলো ঈদের দিনে সিটি ট্রিপ দেবো আর হযরত বাল মসজিদে ঈদের জামাতে নামজ পড়বো।

আজকের খরচঃ

১। ডালগেট - বালমসজিদ = ২৫/-
২। বাল মসজিদ - ডালগেট = ২০/-
৩। ডালগেট - নিশাত বাগ = ৪০/-
৪। নিশাত বাগ এন্ট্রি ফি = ৫০/-
৫। নিশাত বাগ - চাশমেশাহী = ১০০/-
৬। চাশমেশাহী প্রবেশ ফি = ৫০/-
৭। চাশমেশাহী - হোটেল = ৩০/-
৮। খাওয়া = ৩৭০/-
৯। হোটেল ভাড়া = ৪২৫/-

মোটঃ ১১১০ রুপী




পেহেলগামঃ (০৬/০৬/১৯)

গুগল ম্যাপে পেহেলগামের দর্শনীয় স্থানসমূহ 
বাইসারান 

পেহেলগাম লোকালি যাওয়া খুব ইজি। আমরা আজকে শুধু বাইসারান(মিনি সুইজারল্যান্ড) ঘুরেছি। বাইসারন ঘুরে কেনো যেনো আর আরু ভ্যালী, চন্দনওয়ারী, বেতাব ভ্যালীতে যেতে মন চাইলো না। ৫ দিন ঘুরে অলরেডি কিছুটা বোরিংনেস চলে এসেছে। বুঝলাম যা মিস করলাম তা ওই গুলমার্গ, সোনমার্গের মতোই কিছু হবে। বা ভ্যালী বলতে কি বুঝায় তা এতোদিনে বুঝে গিয়েছি। তাই সব মিলিয়ে আর আগ্রহ ছিলো না।

আজকের খরচঃ

১। হোটেল - ডালগেটের ইসলামাবাদ ট্যাক্সিস্ট্যাণ্ড = ৫০/-
২। ডালগেট - ইসলামাবাদ = ২০০/-
৩। ইসলামাবাদ - পেহেলগাম = ১৬০/-
৪। বাইসারান এন্ট্রি ফি = ৬০/-
৫। পেহেলগাম - ইসলামাবাদ = ১৬০/-
৬। ইসলামাবাদ - ডালগেট = ৪০০/-
৭। খাওয়া-দাওয়া = ৩৭০/-
৮। হোটেল ভাড়া = ৪২৫/-

মোটঃ ১৮২৫ রুপী




সুতরাং ৬ দিনে কাশ্মীর ট্রিপে মোট খরচ  = ১০,০৫৫ রুপী
বেনাপোল-কাশ্মীর-বেনাপোল যাতায়াত = ৮,২৭২ রুপী
মোট খরচঃ (৯,৫৫৫+৯,২৭২)= ১৮,৩২৭ রুপী
 এখন, ১৮,৩২৭ রুপী  = ২১,৯১০ টাকা
(১০০ টাকা =৮৩.৬৫ রুপী)


ঢাকা - বেনাপোল - ঢাকা হিসাবঃ (২জনের)

ঢাকা-বেনাপোল(বাস) = ১২৪০ টাকা (ঈদের জন্য বেশি ছিলো) 
বেনাপোল-বর্ডার(অটো) = ২০ টাকা 
ট্রাভেল ট্যাক্স+এন্ট্রি ফি = ১০৯০ টাকা 
বর্ডারে উৎকোচ = ২০০ টাকা (ভারতে প্রবেশের সময়)
খাওয়া-দাওয়া = ১৯৬ টাকা
বেনাপোল - ঢাকা = ১০০০/- 

মোট = ৩৭৪৬ টাকা ।  


অর্থাৎ দুইজনের মোট খরচ হলো (৩,৭৪৬+২১,৯১০) = ২৫,৬৫৬ টাকা 

সুতরাং জনপ্রতি ১২ দিনের কাশ্মীর ট্রিপে মোট খরচ হলো ১২,৮২৭ টাকা


যারা এতোদিন বিশাল বাজেটের ভয়ে কাশ্মীর ভ্রমণের সাহস পাচ্ছিলেন না, তারা এখন বেড়িয়ে পড়তে পারেন। আপনাদের জন্য শুভ কামনা রইলো। আপনাদের যেকোন প্রয়োজনে আমাকে সবসময়ই পাশে পাবেন। 

কাশ্মীর ভ্রমণের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো সেখানকার মানুষের সাথে মেশা। এতো অমায়িক তারা যে অল্পতেই আত্মার সাথে মিশে যায় একেবারে৷ অনেক পরিচ্ছন্ন একটি প্রদেশ এটি ৷ আমরা অবশ্যই যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ নোংরা করবো না। আর কাশ্মীরের মানুষের মনে বাংলাদেশীদের জন্য বেশ ভালো লেভেলের সফট কর্ণার আছে। সেই সম্মানের জায়গাটা ধরে রাখার চেষ্টা করবেন সবসময়ই। ধন্যবাদ সবাইকে। হ্যাপী ট্রাভেলিং। 
















মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কম খরচে কাশ্মীর-লাদাখ-মানালি ভ্রমণ

১০৫০ টাকায় ঢাকা থেকে চারদিনের রাজশাহী+নওগাঁ সফর