পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কম খরচে সিমলা-মানালি ভ্রমণ

ছবি
  মানালিতে বরফের চূড়ায়  প্রারম্ভিকা - অবশেষে মাত্র ১২,০০০টাকায় ১২ দিনে সিমলা-মানালি ঘুরে এলাম। আটটি পর্বের মাধ্যমে আজকে সেই গল্পই শোনাবো আপনাদের । এই সিরিজটি সিমলা-মানালি ভ্রমণেচ্ছুকদের জন্য খুবই সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।  রুটপ্ল্যান   নিয়ে   পড়াশোনা   কম   করিনি ,  কিন্তু   তবুও প্ল্যানিং এ কিছু অসামঞ্জস্যতা থেকেই গেছে  ।   সব জেনেশুনে গিয়েও ট্যুর শেষে মনে হয়েছে আরো বেটার প্ল্যানিং এবং কিছু মোডিফিকেশনও প্রয়োজন ছিলো  ।   আমার ব্লগে আমি অতীতের পড়াশোনা এবং নিজের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার আলোকে সেসব অসমাঞ্জস্যতাগুলো তুলে ধরতে চেয়েছি ।   যারা এই রুটে যেতে আগ্রহী এই সিরিজটি তাদের রুট প্ল্যানে ,  বাজেট প্রণয়নে ,  টাইম ব্যালান্স করতে ,  চ্যালেঞ্জগুলো ফেস করার ক্ষেত্রে অনেক উপকারে আসবে বলে আশাবাদী  । সে অনেক দিনের প্ল্যান ছিলো ভারতে যাওয়া নিয়ে  ।   বহু জল্পনা - কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পাসপোর্ট - ভিসা হাতে পেলাম  ।   এবার শুরু হলো মেইন প্ল্যানিং  । ...

অষ্টম পর্ব (দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে ঢাকা)

ছবি
শিয়ালদহ রেলস্টেশন দিল্লি থেকে কলকাতা অভিমুখে   ( ৩১ / ০৩ / ১৮ ) আজ আর কোন প্ল্যান নেই  ।   ঢাকায় ফিরতে হবে এটাই একমাত্র প্ল্যান  ।   অনেক কাজ জমে গেছে দেশে  ।   সকালে উঠে ব্রেকফাস্ট সেরে হোটেল থেকে চেক আউট করলাম  ।   এরপর সিএনজি নিয়ে চলে গেলাম নিউ দিল্লি রেলওয়ে স্টেশনে  ।   সেখানেই আড্ডা দিয়ে দুপুরে খেতে গেলাম আমাদের পূর্ব নির্ধারিত মুসলিম হোটেলে  ।   আসলে আমরা যেখানেই গিয়েছি ,  সেখানেই এরকম একটি করে হোটেল খুঁজে বের করে রেখেছি  ।   সেই এলাকায় গেলে সেখানেই খেয়েছি  ।   লাঞ্চ শেষ করে রাতের জন্য সেখান থেকেই খাবার পার্সেল নিলাম  ।   যথাসময়ে ট্রেনে উঠে গেলাম ।   ট্রেন একেবারে ৫ . ৩৫ এ প্ল্যাটফর্ম ত্যাগ করলো  ,  শুরু হলো ১৪৭০ কিলোমিটার দূরের কলকাতা শহর অভিমূখে যাত্রা  ।   পথিমধ্যে উত্তর প্রদেশ থেকে পুরান ঢাকার দুই মা - ছেলে আমাদের পাশের আসনে উঠে বসলো  ।   তারা তাজমহল দেখে কলকাতা যাচ্ছে  ।   বাংলাদেশি মানুষ পেয়ে ভালোই লাগলো  ।   আড্ডায়...

সপ্তম পর্ব (একদিনে দিল্লি ভ্রমণ )

ছবি
লালকেল্লা  দিল্লির পথে   (৩০/০৩/১৮) আজকে নিলয় আর আমাদের সাথে বের হলো না । তাসিন আর সুফল কে সাথে নিয়ে আমি দিল্লি ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়লাম । আসলে দিল্লি ভ্রমণে আগ্রহী পর্যটকদের জন্য সেখানে সুন্দর কিছু ব্যবস্থা আছে । অবস্থা বুঝে ১৫০ রুপীতে সাধারণ বাস থেকে শুরু করে বিভিন্ন মূল্যের এসি বাস, হাইস, কোস্টার এবং কারে প্যাকেজ ব্যবস্থা আছে যারা শুধুমাত্র দিল্লি ভ্রমণে আগ্রহী পর্যটকদের নিয়ে ডে ট্রিপে দিল্লির বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে বেড়ায় । বিভিন্ন এজেন্সি এসব ব্যবস্থা করে থাকে । আর হোটেল মালিকদের সাথে চুক্তির মাধ্যমে তারা পর্যটক সংগ্রহ করে । সত্যি বলতে একদিনের হিসেবে ব্যবস্থাটা আমার খুবই ভালো লেগেছে । ব্যক্তিগতভাবে বেড়ালে হয়তো কিছু স্বাধীনতা থাকে, কিন্তু একদিনে সবকিছু কাভার করা সম্ভব হতো না । আমাদের ঢাকাতে এমন কোন ব্যবস্থা কখনো নজরে পড়েনি । অথচ দিল্লির পথে ট্যুরিস্টদের জন্য আলাদাভাবে নির্ধারিত এই ট্রান্সপোরটারগুলো হরহামেশাই নজরে পড়ে ।  আমাদের বাস  ১। লালকেল্লা(Red Fort)- খ্রিষ্টীয় সপ্তদশ শতাব্দীতে প্রাচীর-বেষ্টিত  পুরনো দিল্লি  শহরে  মুঘল সম্রাট...

ষষ্ঠ পর্ব (মানালি থেকে দিল্লি )

ছবি
কুল্লুতে রাস্তার দুইপাশে আপেল বাগান  প্যারাগ্লাইডিং এর জন্য কুল্লু অভিমুখে - (২৮-০৩-১৮ ) সমস্যা দেখা দিলো আজকের দিনটি নিয়ে । কোন প্ল্যান নেই । সাইট সিয়িং নিয়ে কারো কোন হেডেক নেই । নিলয় আর তাসিন আজকের সারাদিন নাকি হোটেলেই থাকবে, তারা টায়ার্ড হয়ে গেছে এই কয়দিনের জার্নিতে । আর সুফল কুল্লুতে প্যারাগ্লাইডিং করার জন্য যাবে । আমি হয়ে গেলাম একা । বেড়াতে গেলে আমার ক্লান্তিও আসেনা, আর ঘরে বসে সময় নষ্ট করা টাইপ ইচ্ছেও নেই । কিছু না কিছু দেখবোই । কি করবো না করবো ভাবতেই সুফল ওর সাথে কুল্লুতে যাবার জন্য ধরলো , আমার ভাড়া সে নিজেই দেবে । সে প্যারাগ্লাইডিং করবে আর আমি দর্শক । কিছু না করে হোটেলে বসে থাকার চেয়ে সুফলের সাথে গিয়ে স্পেক্টেটর আয়ন টাইপ আচরণ করাও ভালো । রাজি হয়ে গেলাম । মানালি থেকে কুল্লু প্রায় সোয়া এক ঘন্টার পথ; বাস ভাড়া ৩০ টাকা । কুল্লুতে গিয়ে শুনি আবহাওয়া খারাপের কারণে প্যারাগ্লাইডিং করা সম্ভব না তখন । অগত্যা বেগাড় খাটনি গেলো এতোগুলো সময় । যারা মানালিতে প্যারাগ্লাইডিং এর জন্য যেতে আগ্রহী তারা আগে থেকেই এসব ব্যপারে খুটিনাটি জেনে যাবেন । অন্তত মানালি পৌঁছেই কনফার্ম হয়ে নেবেন ।...

পঞ্চম পর্ব ( মানালিতে ১ম দিন )

ছবি
গুলাবাতে সূর্যের সাথে বরফের ডিলিং গুলাবা-  ( ২৭-০৩-১৮) আগের দিন হোটেলের লোকের সাথে কথা বলে রেখেছিলাম গুলাবা আর সোলাং ভ্যালির গাড়ির ব্যপারে; ভাড়া ১০০০ রুপী । পরদিন সকাল আট টার দিকে ঘুম থেকে উঠে দেখি  SUZUKI CELERIO  এর ৯৯৮ সিসির চারজন ক্যাপাসিটির সুন্দর ছোট্ট একটি হোয়াইট কার হোটেলের নিচে দাঁড়িয়ে আছে  ।  SUZUKI CELERIO প্রসঙ্গত, মানালির রাস্তায় এই গাড়িগুলোর বিচরণ খুব বেশি । মোট ১০০ টা গাড়ির ভেতরে প্রায় ৭০ টা গাড়িই এটা । তার মধ্যে সম্ভবত ৯৫ ভাগ গাড়িই ট্র্যাভেলারদের জন্য । এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নির্ভর করেই ট্যুরিস্টদের উপরে । স্থানীয় মানুষজনের আচরণও বেশ সন্তোষজনক । যাহোক নয়টার ভেতরেই হোটেল থেকে বেড়িয়ে গেলাম গুলাবার উদ্দেশ্যে । গাড়ি শুরুতে গিয়ে থামলো একটা দোকানের সামনে যেখানে বরফের ভেতরে যাওয়ার পোশাক ভাড়া দেওয়া হয় । আমি নিতে চাইলাম না শুরুতে । কারণ শীতের পোশাক নিয়েই গিয়েছিলাম । কিন্তু সমস্যা হলো আমার সেই পোশাক বরফের ভেতরে কোন কাজে আসবে না । ওসব জায়গায় কুস্তাকুস্তি বা পিচ্ছিল খেলতে গেলে পোশাক নষ্ট হবার ভয় থাকে । আমি কারের ভেতরে বসেই ছিল...