সপ্তদশ পর্বঃ বাই রোড লেহ টু মানালি - ১

বারালাচালা পাস 

মানালি অভিমুখেঃ(১১/০৬/১৯)

একদম ভোরে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে হোটেল থেকে চেক আউট করে বেড়িয়ে এলাম আমরা দুইজন । হোটেলের বাইরে এসে দেখি আংকেলরাও বের হচ্ছেন । ব্যস ৫ জন একসাথে চলে গেলাম ট্যাক্সিস্ট্যাণ্ডে । সবকিছু এতো সুন্দর প্ল্যানমতো হচ্ছিলো বলে সত্যিই খুব ভালো লাগছিলো । মন-মেজাজ একদম ফুরফুরে লাগছিলো । আমি আর সুফল দুইজনে দুইটা আলাদা ট্যাক্সিতে উঠে দুইজনেই ড্রাইভারের পাশের সিটে আরামে বসলাম। বলে রাখি সেদিন মোট ৩ টি ট্যাক্সিই লেহ থেকে মানালি অভিমুখে ছেড়ে গেছে, আর সেই তিনটা ট্যাক্সি যাত্রাপথে সবসময় একসাথেই ছিলো । সাড়ে ছয়টার দিকে ট্যাক্সি চলা শুরু করলো। ট্যাক্সি স্টার্ট দিয়েই ড্রাইভার মামা লাদাখি মিউজিক প্লে করে দিলেন । বেশ উৎসব উৎসব ফিল নিয়ে শুরু করলাম আমাদের এবারের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ, লেহ-মানালি রোড ট্রিপ ।গাড়ি বেশ জোরেশোরেই চলছিলো । কারণ এটা একটা সুবিশাল জার্নি । যেহেতু আমাদের প্ল্যান একদিনেই এই রুট কাভার করবো, তাই দ্রুততম সময়ের মাঝে ভ্রমণ শেষ করা আবশ্যক । নাহলে অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ফেস করতে হবে । কাহিনীতে ফিরে যাবার আগে গত পর্বে এই রুট নিয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করছি । তাহলে এই কাহিনী বুঝতে যেমন সুবিধা হবে, তেমনি পড়তে পড়তে আরো স্বচ্ছভাবে ফিল করতে পারবেন যেনো আপনি আমাদের সাথেই আছেন । 


লেহ  টু  ট্যাগলাংলা পাসঃ

নিজের কাহিনীতে ফিরে যাই । প্রায় এক ঘণ্টা দশ মিনিট পরে ৫৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে আমরা কারু হয়ে এসে পৌঁছাই উপসি নামক একটা জায়গায় । এখানে আমাদের ব্রেকফাস্ট হবে এবং পাসপোর্ট ইস্যু করতে হবে । গাড়ি থেকে নেমে সকল কাজ শেষ করলাম । কিছু সময় চলে গেলো এসব কাজেই । এরপরে আবার উপসি থেকে যাত্রা শুরু করলাম ।
উপসি পুলিশ চেক পোস্ট
লেহ থেকে উপসি পর্যন্ত পথটুকু মোটামুটি আগের দিনগুলোর মতোই ছিলো । কিন্তু উপসি থেকে সৌন্দর্যের একটা মাত্রা যোগ হলো । অসাধারণ সব লালচে রঙ এর পাহাড় পড়ছিলো পথে । পাহাড় কেটে বানানো মসৃণ পথ ধরে চলছিলাম আর অবাক হয়ে দেখছিলাম পাহাড়গুলো । একেকটার শেপও বেশ সুন্দর । শ্রীনগর থেকে লেহ, লেহ থেকে প্যাংগং আপডাউন... কয়েকদিনে সবমিলিয়ে লাদাখের পথগুলোর সাথে একটা ভালো পরিচয় হয়ে গেছে । সেই সাথে কমে গেছে আকর্ষণ । তবে আজকে কিছু ভিন্নতা খুঁজে পেয়ে ভালো লাগছিলো ।




গাড়িগুলো ছুটে চলছিলো নিজ গতিতে, সেই সাথে বক্সে ধুমধাম গান চলছিলো । পেছনে দেখি তিন আংকেলও বেশ মজা করে আড্ডা দিচ্ছেন, চারিদিকে দেখছেন । এভাবে অনেক্ষণ পরে দেখি ধীরে ধীরে বরফের রাজ্য শুরু হচ্ছে । সেই সাথে একই পথে আরো অনেক মোটরসাইকেল আরোহী চোখে পড়ছিলো । এভাবে চলতে চলতে একসময় গিয়ে পৌঁছাই ট্যাংলাং লা পাসে । এটাই নাকি পৃথিবীর Secong Highest Motorable pass। এর উচ্চতা হলো ১৭,৫৮২ ফিট । একটা কথা বলি । কোন পাসের হাইট কত, এসব নিয়ে অনেক দ্বন্দ আছে । বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন তথ্য রয়েছে এই বিষয়ে । ইভেন মাঝে মাঝে কর্তৃপক্ষ নিজেরাও বোধহয় মেপে একেকসময় একেক উচ্চতা পায় । সুতরাং এই বিষয়ে খুব মাতামাতি করার দরকার নেই । একটা এভারেজ হিসাব মাথায় রাখবেন । তাহলেই হলো ।

ট্যাগলাং লা পাস অভিমুখে

ট্যাগলাং লা পাস 
Taglang La পাসে পৌঁছে আমাদের ট্যাক্সি কিছুক্ষণ বিরতি দিলো । আমি গাড়ি থেকে নামলাম ।চারিদিকে বরফ আর বরফ, সেই সাথে প্রচণ্ড বাতাস । আমি সিম্পলি কাঁপতে কাঁপতে দৌঁড়ে গিয়ে সাইনবোর্ডের সাথে পিক তুললাম । সুফলকে ডাকলাম গাড়ি থেকে নামার জন্য, সে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলো তার এতো কুরুজ(ক্রেজ/আগ্রহ) নেই । আমিও সত্যি বলতে বেশিক্ষণ কুরুজ ধরে রাখতে পারলাম না । হুড়মুড় করে গাড়িতে গিয়ে বসলাম । সাথে সাথে গাড়ি ছুটে চলা শুরু করলো ।


ট্যাগলাংলা  টু  লাচুলুংলা পাসঃ 

উঁচু-নিচু পাহাড়ি পথ, বরফের রাজ্য ধরে গাড়ি এগিয়ে চলছিলো পরবর্তী গন্তব্যের দিকে । ট্যাগলাংলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এসে শুরু হয় More plains(Moray plains) । এই জায়গাটা অনেক বিখ্যাত । কারণ এই রুটে এরকম স্ট্রেইট রোড আর দ্বিতীয়টি নেই । প্রায় ৩০-৩৫ কিলোমিটার লম্বা এই মোর প্লেইন । এখানে এলেই সব গাড়ি পাগলের মতো টানা শুরু করে । আমি এসব নিয়ে এতো ঘাঁটাঘাটি করেছি যে এই প্লেন শুরু হওয়া মাত্রই ড্রাইভার ভাইকে জিজ্ঞেস করলাম যে এটা মোর প্লেন না ? তিনি এমন নাম নাকি কখনো শোনেন নাই । অবাকই হলাম । ব্যাপার টা পরে ধরতে পেরেছি । লাদাখের যত পথঘাট আছে, এরমাঝে অনেক কিছুর স্থানীয় নাম আলাদা । স্থানীয়রা অনেকে জানেই না যে এই জায়গাগুলোর আন্তর্জাতিক বা লিখিত পরিচিত কি, যদিও রাস্তার পাশে সবজায়গায় এই নামগুলোই লেখা । যাহোক, মোর প্লেন ধরে আমাদের গাড়ি খুব দ্রুত গতিতে ছুটে চলছিলো । এই ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা যেনো চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেলো । এরপরে ফের সেই পাথুরে পাহাড় আর বরফের ভেতর দিয়ে গাড়ি ছুটে চলা শুরু করলো ।

বাই রোড লেহ টু মানালি 
বাই রোড লেহ টু মানালি 

বাই রোড লেহ টু মানালি 

 কখন লাচুলুংলা পাস চলে এসেছে টেরই পেলাম না । আমাদের কারোরই আর নামতে ইচ্ছে করছিলো না এখানে । এই পাসের হাইট প্রায় ১৬,৬০০ ফিট । গাড়ি নিজের মতো করে চলছিলো উঁচুনিচু বন্ধুর পথ ধরে ।

লাচুলুংলা টু সারচুঃ 

লাচুলুংলা থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে রয়েছে নাকিলা পাস, যার উচ্চতা ১৫৬৪৭ ফিট । এখানেও আমাদের গাড়ি আর থামেনি । আর কত পাস দেখবো রে ভাই । খালি তো পাসই পাস করে যাচ্ছি । তাই এসব নিয়ে হেডেক কম ছিলো । তবে হ্যাঁ চারিদিকে প্রচুর বরফ দেখা যাচ্ছিলো । ড্রাইভার ভাইকে বারবার করে জিজ্ঞেস করছিলাম, ভাই সবচেয়ে বেশি বরফ কখন আসবে ? যখন আসে তখন যেনো আমাকে বলে, আমি ভিডিও করবো। ড্রাইভার ভাই আশ্বস্ত করলেন সামনে বরফের পাহাড় রয়েছে । শুধু অপেক্ষা করতে হবে । নাকিলা পাস থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে Gata loops । এই লুপের ব্যাপারেও আগে থেকেই বেশ জানাশোনা ছিলো । আবারও ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলাম, ভাই এটা গাটা লুপ না ? তিনি চেনেন না। তিনি স্থানীয় একটা নাম বললেন । যাহোক, লুপটা অনেক স্পেশাল একটা বিষয় । এই লুপের কাছে এক জায়গায় মানুষজন বোতল ফেলে । কোন একটা অতিপ্রাকৃত ঘটনা আছে এই লুপকে জড়িয়ে । গুগলে গাটা লুপ লিখে সার্চ দিলে সেই ঘটনাই আগে চলে আসে সবসময় । যাহোক, প্রায় ১৫,৩০২ ফিট উচ্চতায় অবস্থিত এই গাটা লুপে মোট ২১ টি লুপ রয়েছে । ব্যাপক একটা জায়গা সত্যি বলতে । পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সাপের মতো এঁকেবেকে চলে গেছে রাস্তাটা ।

গাটা লুপ

Sanam Re গানটি থেকে স্ক্রিনশট নেয়া 

গুগল ম্যাপে গাটা লুপ 
আমাদের গাড়িটি পেঁচাতে পেঁচাতে নিচে নেমে গেলো একসময় । এরপরে সুন্দর একটা সাঁকো ছিলো । সেটা পেরিয়ে এগিয়ে চলছিলো । গাটা লুপ থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সারচু । এই সারচুই হলো জম্মু-কাশ্মীর আর হিমাচল প্রদেশের মধ্যবর্তী স্থান । তার মানে আমরা এতোক্ষণ ধরে জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যেই ছিলাম । এখন হিমাচলের সীমানায় প্রবেশ করবো । সারচু গিয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বেলা একটা বেজে গেলো । এখানে থাকার জন্য তাঁবুর ব্যবস্থা রয়েছে । আমরা নেমে কিছুক্ষণ ফ্রেশ হলাম, কিছু খাবার কিনলাম । এখানে এসে আমি সুফলের সাথে গাড়ি ইন্টারচেঞ্জ করলাম । এই গাড়িতে আরো তিনজন যাত্রী ছিলেন । দুইজন আমেরিকান, একজন ন্যাটিভ। যাহোক,  কিছুক্ষণ পরে ফের তিনটা গাড়ি একসাথে মানালি অভিমুখে ছুটে চললো ।


সারচু টু বারালাচালা পাসঃ 

শুরু হলো আমাদের জার্নির সবচেয়ে নাটকীয় এবং হেক্টিক পার্ট । বেশ ভালোভাবেই গাড়ি চলছিলো । সারচু থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরে পড়বে বারালাচালা পাস । এই রোডের মাঝে এই পাসটাই হলো সবচেয়ে এক্সট্রিম । আমরা তখনো জানিনা আমাদের জন্য সামনে ঠিক কি অপেক্ষা করছে । আল্লাহর নাম নিয়ে চলা শুরু করলাম ।
বাই রোড লেহ টু মানালি 

বাই রোড লেহ টু মানালি 

একটা সময়ে বারালাচালা ইফেক্ট শুরু হলো । এই পাসের হাইট হলো ১৬,০৪০ ফিট । চারিদিকে বরফের ছড়াছড়ি । যতদূরে চোখ যায় শুধু বরফ আর বরফ । শুভ্রতায় ছেয়ে আছে চারিদিকে । বাইরে প্রচণ্ড লেভেলের ঠাণ্ডা । সুতরাং বাইরে বের হবার প্রশ্নই ওঠে না । বারালাচালায় প্রবেশ করেছি, তখন প্রায় বেলা সাড়ে তিনটা বাজে । অলরেডি আমাদের ভ্রমণের ৯ ঘন্টা পেরিয়ে গেছে । ক্ষুধার বোধটা খুব বেশি ছিলো না । সাথে পর্যাপ্ত ড্রাই ফুড ছিলো, যাতে বিপদে পড়লে নিজেদের জ্বালানীর ঘাটতি না হয় ।

একটা সময় তিনটা গাড়িই সিরিয়ালে থেমে গেলো ।  কারণ অন্বেষণে জানা গেলো বিপরীত দিক থেকে একটা বড় ট্রাক ঢুকেছে এই রোডে । মেজর কোন সমস্যা মনে হলো না । গাড়িতে হিটার ছেড়ে দিয়ে ড্রাইভার ভাই বেড়িয়ে গেলেন সমস্যার সমাধানে । বরফের রাজ্যে আমরা আরামে গরমের মাঝে বসে ছিলাম । বেশ ভালোই লাগছিলো । অনেক্ষণ হয়ে গেলেও কোন ফলাফল পেলাম না । বের হয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে বুঝলাম ভালোই ক্যাচাল হয়ে গেছে । এই রাস্তা এতোই সরু যে একটা কার আর একটা বাইক প্যারালালে চলা মুশকিল, সেখানে আস্ত একটা ট্রাক ঢুকেছে বিপরীত দিক থেকে । রাস্তার এমন অবস্থায় কোন গাড়িরই পিছিয়ে যাবার মতো অবস্থা ছিলো না ।

এই কলিশনে পড়ে বাইকওয়ালারাও ভালো ঝামেলায় পড়ে গেছে । বাইরে বের হলেই শীতে কুলানো যায় না । এক ফুট জায়গা পাওয়া যায় না, যেখানে কোন বরফ নেই । এমনিতেই বরফ নিয়ে খেলাটা মজার, বাট যেখানে পা দেবো সেখানেই বরফ, অন্য কোন উপায়ও নেই, এই ব্যাপার টা ভয়াবহ । আমরা আরামে গাড়িতে বসে থাকলেও বাইকওয়ালাদের খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছিলো । তারা পাসও করতে পারছিলো না, আবার ঠাণ্ডার মাঝে ঠায় বসেও থাকতে পারছিলো না । এই রোডে বাইকিং করাটা আমার কাছে যথেষ্ট হরিবল একটা এক্সপেরিয়েন্স বলে মনে হয়েছে । প্রতিদিনই কেউ না মরলেও অন্তুত দৈনিকই একটা মেজর বাইক এক্সিডেন্ট হয়, ওখানে গিয়ে এমনটাই বুঝতে পেরেছি । উপরন্তু মেকানিকবিহীন একটা লম্বা রুটে একবার মেকানিক্যাল প্রব্লেম হলে সেই সমস্যার বাপ-মা থাকবে না ।
বারালাচালা পাস

বারালাচালা পাস

বারালাচালা পাস
যাহোক, সময় বয়ে চলছিলো । কোন সমাধান নেই । একটা সময় দেখি বাইরে তুষারপাত হচ্ছে । জীবনের প্রথম স্নোফল উইটনেস করার সৌভাগ্য হলো । সেই ফিল । আমরা যে ফান্দে আটকে গেছি, আমার ততোটা গায়েই লাগছিলো না । আমি তুষার স্নান করতে নেমে গেলাম । বাট পিনিক ধরে রাখা টাফ । বরফের মাঝে কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায় ভাই ! একবার গাড়ি থেকে বাহিরে গেলেই পা জমে থাকে আধাঘণ্টা । এরপরে গাড়িতে ঢুকে পা ম্যাসাজ করতে থাকি । ব্যাগে যতোগুলো শীতের পোশাক ছিলো সবগুলো গায়ে দিয়েও কাঁপাকাপি করছিলাম । সবমিলিয়ে অন্যরকম একটা অভিজ্ঞতা ।

দীর্ঘ ছয়টা ঘণ্টা পেরিয়ে গেলো এসব সিস্টেম করতে । ড্রাইভার ভাই আর বাইকারদের জন্য খুব খারাপ লাগছিলো । খুব কষ্ট হয়ে গেছে তাদের সত্যি । যাহোক, অবশেষে ছুটতে পেরে ভালোই লাগলো । রাত তখন সাড়ে নয়টা বাজে । আকাশে কি সুন্দর পূর্ণিমার চাঁদ উঠেছে । অনেক্ষণ বরফের রাজ্যে বসে জ্যোৎস্নার আলো উপভোগ করলাম । গাড়ি এবার হেড লাইট জ্বালিয়ে টুকটুক করে চলতে শুরু করলো নিজ গন্তব্যে । হেডলাইটের আলোয় দেখলাম যতদূরে চোখ যায়, শুধু বরফ আর বরফ । ড্রাইভার ভাই এই পাহাড়গুলোর কথাই বলেছিলেন শুরুতে । চারিদিকে ২০-৩০-৪০ ফিট উচ্চতার বরফের মাঝে দিয়ে বয়ে গেছে রাস্তা । এই বরফগুলো পরিষ্কার করেই রাস্তা নতুন করে প্রতিবছর ব্যবহার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয় । আমিও ক্যামেরা অন করে ভিডিও করতে শুরু করলাম । স্নোফল আর এই পথচলার ভিডিওটি পরে ফেসবুকে দিয়েছিলাম । এখানে লিংক দিয়ে দিলাম । IT WAS EXTREME & AMAZING. সারাজীবন মনে থাকবে এই সময়টার কথা ।



















মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

কম খরচে কাশ্মীর-লাদাখ-মানালি ভ্রমণ

১০৫০ টাকায় ঢাকা থেকে চারদিনের রাজশাহী+নওগাঁ সফর

একাদশ পর্বঃ ১২,৮২৭ টাকায় ১২ দিনে ঢাকা থেকে কাশ্মীর ভ্রমণ (বিশেষ পর্ব)