পঞ্চদশ পর্বঃ প্যাংগং লেক - ২
প্যাংগং এর পাড়ে আমরা সবাই |
প্যাংগং-এ প্রথম দিনঃ
বেলা আড়াইটায় বাস থেকে নামলাম সবাই । অবশেষে চলে এলাম সেই স্বপ্নের PANGONG LAKE । আমি আগেও বারবার বলেছি লাদাখের মতো এই প্যাংগং নিয়েও আমার মেজর কোন হেডেক ছিলো না । আমি গিয়েছি স্রেফ এসবের প্রতি মানুষের ক্রেজের কারণ অন্বেষণে । কিন্তু এই জায়গা যে আমার ছোট্ট পরিসরে দেখা সকল সুন্দরের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরতম বলে বিবেচিত হবে, এমনটা আশা করিনি ।
বাস থেকে নামার সাথে সাথে ড্রাইভার মামা আমাদের পরবর্তী ডিরেকশন দিয়ে দিলেন । আমরা আজকে এখানে থাকবো । এখানে থেকে আগামীকাল সকাল আট টার মাঝে বাস ছেড়ে যাবে লেহ অভিমুখে । সেভাবেই সবাইকে প্রস্তুত থাকার জন্য বলে তিনি একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বাস পার্ক করে বিদায় নিলেন ।
আমরা সবাই ততোক্ষণে বেশ ক্লোজ হয়ে গিয়েছি । ইংল্যান্ডের ওই বৃদ্ধ দম্পত্তি নিজেদের মতো করে কই যেনো চলে গেলেন । কিন্তু আমরা বাকি সবাই একজায়গায় বসে ডিসিশন নিলাম কি করা যায় না যায় । শুরুতেই যে হোটেল দেখলাম সেখানে ডিনার+ব্রেকফাস্ট সহ এক রাতের রুম ভাড়া জনপ্রতি ৮০০ রুপী চাইলো । আমরা নিজেরা কিছু না বলে দেখছিলাম ইউরোপিয়ানগুলো কি সিদ্ধান্ত নেয় । তাদের সিদ্ধান্ত দেখে সত্যিই অবাক হয়ে গেলাম । সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ানো মানুষগুলোর কাছে ৮০০ রুপীতে এক রাতের একোমোডেশন+ডিনার+ব্রেকফাস্ট বেশি মূল্যবান মনে হয়েছে ! আর আমরা কি রাজকীয় চালচলন প্রকাশ করি সবসময় । এই বিদেশী নাগরিকদের যে বিষয়টি সবচেয়ে অবাক করার মতো সেটি ছিলো এটিই যে তাদের মধ্যে কখনোই বিলাস ব্যাসনের আধিক্য দেখিনি। তারা পাবলিক বাসে চলাফেরা করে, সাধারণ খাবার খায়, সিম্পল তাদের এটিটিউড, অতিরিক্ত অপচয় করে না। টাকা সেইভ করে এবং সেই টাকায় নেক্সট কোথাও বেড়াতে যায় ৷ শূণ্য পকেটে বিশ্ব ভ্রমণের দীক্ষা পেয়েছি তাদের কাছে। তারা এতো অমায়িক ছিলো যে তাদের কথা আলাদাভাবে না বললেই নয়। একেজন পাঁচ মাস, সাত মাস বা দশ মাস হয় টানা ঘুরে বেড়াচ্ছে শুধু। তাদের কাছে তাদের জীবনের গল্প শুনেছি আর শুধু অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থেকেছি। দুইদিন টানা একসাথে থেকেছি, খেয়েছি, ঘুরেছি, গান-আড্ডা দিয়েছি। ব্যাপক ছিলো সময়গুলো। ইন ফ্যাক্ট আমাদের এই ১৯ দিনের ট্রিপের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সময় ছিলো এই ২ দিন।
সেখানে সবার সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হলো আমরা সবাই ভিন্ন ভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যাবো । অনেক হোটেল আছে, সবাই দেখবো । এরপরে এক জায়গায় জড়ো হয়ে সবচেয়ে কমে যেটা পাওয়া যাবে, অবস্থা বিবেচনায় সেখানে উঠে যাবো । এভাবেই প্রায় ২০ মিনিট পরে সবাই এক জায়গায় জড়ো হলাম । একটা হোটেল পেলাম জনপ্রতি ৬০০ টাকায়, সাথে ডিনার এবং ব্রেকফাস্ট এটাচড । ভালোই হলো । সবাই মিলে সেটাতে উঠে গেলাম । একটা উৎসব উৎসব ভাব কাজ করছিলো সবার মাঝেই । নিজেদের আর অপরিচিত বলে মনে হচ্ছিলো না । হোটেলে উঠেই সবাই ফ্রেশ হয়ে নিলাম ।
ততক্ষণে বিকেল হয়ে এসেছে প্রায় । এর মাঝেই হালকা খাওয়া দাওয়া করে নিলাম সবাই মিলে । এরপরে সবাই একসাথে হোটেল থেকে বেরিয়ে চলে এলাম প্যাংগং এর ধারে । এই লেকের পাগল করা মোহনীয় রুপ দেখে থমকে গিয়েছিলাম । এতো সুন্দরও একটা জলাধার হতে পারে, ভাবিনি কোনদিনও । সমুদ্র সবসময়ই আমার খুব প্রিয় একটা জায়গা । এই লেকের পাশে দাঁড়িয়ে সমুদ্রের সৌন্দর্য যেনো ম্লান মনে হচ্ছিলো । ভয়ংকর একটা ভালোলাগা নিয়ে ফিরেছি । কি সুন্দর পানি ! এর স্পেশালিটি হলো এর জলের বর্ণ। দিনের বিভিন্ন সময়ে এটি বিভিন্ন বর্ণ ধারণ করে। অথবা একইসাথে দুই বা ততোধিক বর্ণের পানির দেখা মেলে। এতো অসাধারণ লাগে জিনিস টা, ভাষায় প্রকাশ করার মতো না।
|
![]() | |
|
আমরা সেখানে অনেক্ষণ আড্ডা দিলাম সবাই মিলে । অনেক ফটো তুললাম । সবার মাঝে আনা, ইভান, মাতিয়াস আর জুলিয়েটের সাথেই বেশি সখ্যতা তৈরি হয়েছিলো আমাদের । ওরাই বেশি আন্তরিক ছিলো সবার মাঝে । মেক্সিকান নাগরিক ইভান একজন প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার । দামি দামি সব ক্যামেরা গ্যাজেট নিয়ে সে লেগে গেলো ফটো তোলার কাজে । তার নিজের একটা ফার্মও আছে এই রিলেটেড । সেখানে অনেকেই চাকরি করে । আর ইভান এরকম মাসের পর মাস বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ায় আর ফটো তোলে । খুবই আন্তরিক একটা ছেলে ।
|
ইভানের ক্যামেরাতেই আমরা কয়েকটি গ্রুপ ফটো তুললাম । সন্ধ্যা অবধি ছিলাম লেকের পাশে । প্রতিটি মুহুর্ত ছিলো ফিল করার মতো । এতো মোহনীয় সময় কাটিয়েছি যে আজকে লিখতে বসেও সেসব ফিল করতে পারছিলাম স্পষ্টভাবে । আহা সময় ! এতো দ্রুত চলে গেলো যে মনে হচ্ছিলো সবকিছু চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেলো ।
কি মারাত্মক ঠাণ্ডা রে ভাই । হিম বাতাসের প্রবাহ সেই ঠাণ্ডাকে আরেকটা নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে । আমরা কাশ্মীর থেকে যেসব শাল কিনেছিলাম, একে একে সবগুলো বের করে গায়ে দিচ্ছিলাম । ঠাণ্ডায় টেকাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছিলো । তবুও মাদকতার কমতি ছিলো না । সিম্পলি কাঁপতে কাঁপতে দাঁড়িয়ে ছিলাম । ইন দ্যা মিনটাইম, আমার আবার লেকের জলে পা ভিজিয়ে পিক তোলার শখ হলো । ব্যাস জলে দাঁড়িয়ে ইভানকে ডাকলাম । ইভান ক্লিক করে একটা পিক তুলে দিলো ।
![]() |
প্যাংগং এর জলে পা ভিজিয়ে পিক তোলা |
তখনো টের পাইনি, আমার এরপরে কেমন লাগতে পারে । এরপরে পাড়ে এসে টের পেলাম লেকের জলের স্পর্শে পা একদম জমে যাবার দশা । আমি কোন ফিল পাচ্ছিলাম না পায়ে । পাড়ে বসে পা ডলা শুরু করলাম । আমার কাজ দেখে ইউরোপিয়ানগুলো হাসতে হাসতে একাকার অবস্থা । আমার জুতা দেখেই মূলত ওরা হাসাহাসি শুরু করেছে । সিম্পল একটা বাটা জুতা নিয়ে এভাবে দিনের পর দিন শীতের রাজ্যে কিভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি, এটাই ছিলো তাদের কৌতুহলের বিষয়বস্তু ।
প্যাংগং লেক |
সন্ধ্যা হবার পরে আর টিকতে পারলাম না শীতে । সবাই মিলেই আমাদের হোটেলে ফিরে গেলাম । কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে খাবার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলাম । সবাই একসাথে চলে গেলাম খেতে । সবজি ভাত খেলাম রাতে । খেয়ে দেয়ে সবাই বসে অনেক্ষণ আড্ডা দিলাম একসাথে । মাতিয়াসের সাথে একটা গিটার ছিলো । সে এই গিটার নিয়েই ঘুরে বেড়ায় । বেশ ভালো গান করে ছেলেটা । আমরা অনেক্ষণ বসে বসে তার কণ্ঠে স্প্যানিশ গান শুনলাম। আমাদের অনুরোধে কয়টা ইংরেজি গানও গাইলো । ভালো লেগেছে । সবাই মিলে অনেক মজা করলাম । এরপরে ফিরে গেলাম নিজেদের কক্ষে । ইভানের সাথে বিদায় নিতে গিয়ে জানলাম সে নাকি ঘুমাবে না । সারারাত লেকের পাড়ে বসে থেকে মিল্কিওয়ের ফটো তুলবে । ওর কথা শুনেই আমি জমে গেলাম । বাপরে এই ঠাণ্ডায় এই ছেলে কিভাবে সারারাত লেকের পাড়ে বসে থাকবে । ফটোগ্রাফির প্রতি প্যাশন দেখে অবাকই হলাম । সে চলে গেলো লেকের ধারে । আমরা সবাই নিজ নিজ কক্ষে গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম ।
রাত চারটা । কে যেনো জানালার ধারে এসে ফিসফিস করে আমাদের ডাকছে । আমি একটু ভড়কে গেলাম । এতো রাতে কে রে জানালার ধারে ? পর্দা সরিয়ে দেখি ইভান দাঁড়িয়ে আছে । হোটেলের মূল গেট খুলতে বলছে। আমি গিয়ে দ্রুত গেট খুলে দিলাম । দেখি ও প্রায় বরফে জমে গেছে । এই ছেলে সত্যিই যে এভাবে সারারাত এতো ঠাণ্ডায় কিভাবে কাটালো আল্লাহ মালুম । নিজেকে ওর জায়গায় কল্পনা করে আবিষ্কার করলাম ঠাণ্ডায় জমে লেকের ধারে অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছি । যাহোক, ইভান লম্বা করে একটা ধন্যবাদ দিয়ে নিজ ঘরে চলে গেলো । আমিও ফের ঘুমিয়ে গেলাম ।
প্যাংগং-এ দ্বিতীয় দিনঃ(১০/০৬/১৯)
ঘুম ভাঙ্গলো পরদিন সকাল ছয়টায় । ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ফের চলে গেলাম লেকের ধারে । কিছুক্ষণ একসাথে আড্ডা দিলাম সবাই মিলে লেকের ধারে । ঠাণ্ডায় তখনো বেশিক্ষণ টিকতে পারলাম না । ঘন্টাখানেক বসে থেকে হোটেলে ফিরে এলাম । সবাই মিলে একসাথে বসে ব্রেকফাস্ট করলাম । এই বিদেশীগুলো এতো ওয়েল ম্যানারড যে এই দুইদিন শুধু তাদের অনুকরণ করেই কাটিয়েছি । কি অমায়িক ছিলো মানুষগুলো । চলাফেরা, কথাবার্তা সবকিছুতেই একটা সৌজন্যতা লক্ষণীয় ।
খেয়েদেয়ে সকাল আট টা নাগাদ চলে গেলাম আমাদের বাসে । ততোক্ষণে বাসের বাকি সকল যাত্রীরা এসে হাজির হয়েছে । ড্রাইভার মামার সাথে আমার একটা আলাদা খাতির হয়ে গিয়েছে । আমাকে দেখেই মুচকি হেসে বললেন আপনার জন্যই অপেক্ষা করছিলাম । আমরা বাসে ওঠা মাত্রই লেহ অভিমুখে ছেড়ে গেলো । সেই একই পথ ধরে বাস ছুটে চললো গন্তব্যের পানে । পথে দুই তিনবার যাত্রা বিরতি দিয়েছিলো । আমরাও কিছু খাওয়া-দাওয়া করে নিয়েছিলাম । বাস যখন লেহ শহরে পৌঁছায় তখন ঘড়িতে দুইটা বাজে ।
সবার থেকে বিদায় নিতে বেশ খারাপ লাগছিলো সত্যি বলতে । এতো সুন্দর একটা ভ্রমণে এতো সুন্দর কিছু মানুষের সান্নিধ্য পাওয়াকে আমি সৌভাগ্যের অংশ বলেই বিবেচনা করছি । এজন্যই এতোদিন পরে এসেও সেই সময়টার জন্য এতো বেশি পোড়ায় । সবকিছু অনেক বেশি ভালো ছিলো ।
লেহ শহরে কিছু সময়ঃ
সবার থেকে বিদায় নিয়ে আমরা আমাদের সেই আগের হোটেলে ফিরে এলাম । বলে রাখি, আমরা ৯ তারিখ সকালে যখন হোটেল থেকে চলে যাই, ঠিক তখনই ১০ তারিখ রাতে সেখানে থাকার জন্য অগ্রীম বুকিং দিয়ে যাই । ফের হোটেল খোঁজার ঝামেলা নেয়া বা এতো কমে নাও পেতে পারি, সেজন্য আগেই বুক দিয়ে গিয়েছিলাম । হোটেলে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিলাম ।
এরপরে চলে গেলাম সেই আংকেলদের হোটেলে । বিকাল হয়ে গেছে । সেখানে গিয়ে আগে খাওয়া-দাওয়া করে নিলাম । এরপরে চলে গেলাম তাদের রুমে । গিয়ে শুনলাম তারাও নাকি অলরেডি সব ঘুরে এসেছে । তারা ৯ তারিখ সকালে পারমিশন নিয়ে একদিনেই কার ভাড়া করে প্যাংগং ঘুরে এসেছেন । আর ১০ তারিখে ঘুরে এসেছেন খারদুংলা পাস থেকে । কার খুব দ্রুত চলে বলে অল্প সময়ে এসব কাভার দিতে তাদের সমস্যা হয়নি ।
আসল কথায় আসি । যে খবরটির জন্য আমরা মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না সেটা হলো আজকে থেকেই নাকি লেহ থেকে মানালির গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে । এই কথা শোনার সাথে সাথে আমাদের খুশি দেখে কে । আলহামদুলিল্লাহ । একটি দিনও অতিরিক্ত নষ্ট হলো না । আমাদের বিশ্বাস করতে সত্যিই কষ্ট হচ্ছিলো । পরে আংকেল রা জানালেন তারা নাকি অলরেডি আগামীদিন মানালি যাবার জন্য ট্যাক্সি বুক দিয়ে রেখেছে । ব্যাস তাদের সাথেই চলে গেলাম ট্যাক্সি স্ট্যাণ্ডে ।
প্রসঙ্গত, এরপরে থেকে আংকেলরা বলা শুরু করলেন, তোমাদের হাতে যেহেতু সময় আছে সুতরাং তোমরা মানালি না গিয়ে স্পিতি ভ্যালি যাও । চন্দ্রতাল লেক সহ আরো কি কি যেনো বিখ্যাত কয়েকটি ট্যুর স্পটের কথা জানালেন । এজন্য আমাদের মানালি পৌঁছানোর ১১৬ কিলোমিটার আগেই কেলং নামের একটা জায়গায় নামতে হবে । আংকেলদের কথা শুনে আমরাও মোটিভেটেড হয়ে গেলাম । ব্যস ট্যাক্সি বুক দিলাম কেলং এর জন্য । লেহ টু মানালি ৪৯০কিলোমিটার রাস্তা । এজন্য আংকেলদের ট্যাক্সি ভাড়া লাগলো ২৫০০ রুপী জনপ্রতি । আমরা কেলং এর জন্য জনপ্রতি ১৮০০ রুপী ফিক্সড করে কিছু বুকিং মানি দিয়ে ফিরে এলাম ।
এরপর তিন আংকেলের সাথে লেহ শহরে ঘুরতে শুরু করলাম । বেশ সুন্দর কিছু সময় কাটলো একসাথে। তিনজনের ফাজলামি দেখে আমি তাদের ভেতরের সেই তরুণ বয়সটাকে খুব ফিল করেছি । সব তিন বন্ধুর সার্কেলের মতোই তাদের তিনজনের মাঝেও একজন একটু ক্ষেপায় বেশি, একজন একটু নরম স্বভাবের হয়, একজন একটু মুখ খারাপ করে বেশি ... তাদের কাজকর্ম খুব ভালো লাগলো সত্যি বলতে । একসাথে অনেক সময় লেহ শহরের মার্কেটগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম । কি সুন্দর পরিচ্ছন্ন শহর । সন্ধ্যা অবধি আমরা ৫ জনে ঘুরে বেড়ালাম শহরজুড়ে । আংকেল রা খুব করে চাচ্ছিলেন আমরা এই বিকেল টা নষ্ট না করে লেহতে একটা ডে ট্রিপ দেই । এমনিতেই হাতে বেশি সময় ছিলোনা, উপরন্তু যেকোন জায়গাতেই এসব ডে ট্রিপে আমাদের আগ্রহ বরাবরই কম । তাই আর আংকেলদের কথা গায়ে মাখলাম না । যাহোক, রাতে সবাই নিজ নিজ হোটেলে ফিরে এলাম । পরদিন ভোরে আমাদের মানালির ট্যাক্সি । সেই হিসেবেই ঘুমিয়ে গেলাম ।
খরচঃ (০৯/০৬/১৯)
১। ব্রেকফাস্ট = ১০০/-
২। নাস্তা = ১৩০/-
৩। প্যাংগং আপ-ডাউন = ১১৭০/-
৪। নাস্তা = ৬০/-
৫। প্যাংগং হোটেল+ডিনার+ব্রেকফাস্ট = ১২০০/-
মোটঃ ২৬৬০ রুপী
খরচঃ (১০/০৬/১৯)
১। খাওয়া = ৩১০/-
৩। হোটেল ভাড়া = ৩০০/-
মোটঃ ৬১০ রুপী
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন